
পোস্টের আলোচ্য বিষয়, বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসার সুবিধা, সুযোগ, ও সম্ভাবনা । একটা ব্যাপারে অবাক হয়ে আছি। ১৯৯৪-৯৫ সালে, যখন কম্পিউটারই দেখিনাই, সেইসময় জেফ বেজোস অ্যামাজন প্রতিষ্ঠা করে বসলেন। তাও আবার নামি কোম্পানির উঁচু পদ ছেড়ে। আজকে ২০২১ এ আমরা বেশিরভাগ শিক্ষিতরাও অতোটা বুঝিনা বাংলাদেশে ই-কমার্স এর সম্ভাবনা কতখানি। ইকম মানেই সদাইপাতির দোকান না। আর্থিক বা অন্য কোন বিনিময় ব্যবসার অনলাইন ভার্সনই ইন্টার্নেট কমার্স ।
ব্যবসা না বুঝলেও কেনাকাটা ঠিকই বুঝেতেছি । বহু মানুষ অনলাইনেই কেনাকাটা করছে । করোনা মহামারিতে তা আরও বেড়েছে। যেই অভ্যাস থেকেও যাবে। আমি নিজেও আগে অনলাইনে কিনতাম না। কিন্তু এখন কিনি।
বাংলাদেশেও এই ব্যবসা নতুন নয়। ৪ জি আসার পর থেকে পুরোদমে চলছে। শহরের অলি গলি ডেলিভারি ম্যান।
ই-কমার্স এর সম্ভাবনা
এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সারাবিশ্বে তথা বাংলাদেশে ২০১৯ এর তুলনায় অনলাইনে কেনাকাটা দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ২০২০ এ । এবং এটা অনন্তকাল বাড়তেই থাকবে। তাই অনলাইনে যারা ব্যবসা করছেন, আগেই হতাশ হবেন না। হতাশ হওয়ার আরও সময় আছে। দোষ থাকলে আপনার মার্কেটিং গ্যাপের, মার্কেট -এর না। আপনি চাইলে যেকোনো রেজাল্ট ড্রাইভেন মার্কেটিং সার্ভিস গ্রহন করতে পারেন ।
আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ২০৪০ সালের মধ্যে ৯৫ ভাগ ব্যবসা ও কেনাকাটা অনলাইনে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ৭০ ভাগে চলে আসবে। যারা আগে শুরু করবে তারাই অধিক লাভবান হবে, এগিয়ে থাকবে । তাই ব্যবসাকে আধুনিকায়ন করতে অনলাইন স্টোর বা ইন্টারনেট শোরুমের বিকল্প নেই।
২০১৯ সালে বাংলাদেশের ই-কমার্সের বাজার দাঁড়িয়েছে এক হাজার ৬৪৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা ২০২০ সালে বেড়ে তিন হাজার মিলিয়নের বেশি হয়েছে। ২০২৩ সালে বাজারের আকার ধারণ করবে পাঁচ হাজার মিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে প্রায় আট হাজার প্রতিষ্ঠান প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ই-কমার্সের সঙ্গে যুক্ত।
ভারতে ২০২০ সালে ৭০% এরও বেশি ডিজিটাল ক্রেতা ঢুকেছে । ২০১৯ এ সেইবৃদ্ধির হার ৬৪% ছিল । 2020 সালে ভারতে ডিজিটাল ক্রেতার সংখ্যা ছিল প্রায় 330 বিলিয়ন। Statista‘র এই পরিসংখ্যানটি ২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সময়ে কোন বছর কত শতাংশ ক্রেতা বেড়েছে তা দেখাচ্ছে ।

বাংলাদেশে ই-কমার্স এর সুবিধা
ঢাকা বা যেকোনো জেলা শহরের প্রোপারে একটা দোকান নিতে কি পরিমাণ ব্যয় করতে হয় তার কিছু ধারণা আমাদের আছে । তাও নির্দিষ্ট একটা গন্ডির ভেতরেই তা ঘটবে। কিন্তু অনলাইনে একটা নাম আর একটু জায়গা পেতে তুলনায় নগন্য ব্যয়। এর সাথে একটু মার্কেটিং। কিন্তু এই মার্কেটিং এর ব্যয় অফলাইনের তুলনায় অনেক কম। একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীর পত্রিকা টিভিতে যাওয়ার সামর্থ না থাকলেও ডিজিটাল মাধ্যমে তুলনামূলক কম খরচেই মার্কেটিং করতে পারেন। যার আউটকাম আপনি ভাবতেও পারবেন না। বাংলাদেশে ই-কমার্স এর সুবিধা
ই-কমার্স এর অর্থ ব্যাপক। শুধু যে পণ্যই বিক্রি করা যায় অনলাইনে, তা নয়। অনলাইনে সার্ভিসও বিক্রি করা যায়। নতুন নতুন ফিচার নিয়ে ব্যবসা চলছে, যা বাংলাদেশে এখনো আসেনি। সেসব নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি করলে সুদূরপ্রসারী ফলাফল পাওয়া যাবে। নিজের দক্ষতাকে ব্যবহার করে আয় করা যায়। অদলবদল করা যায়। দ্রুততম সময়ের মধ্যে ভালো পণ্য বা সার্ভিস ডেলিভারি দিতে পারলে আপনাকে কেউ আটকাতে পারবেনা। বারবার ফিরে আসবে গ্রাহক।
কানাডা – আমেরিকার প্রায় প্রতিটা মানুষই অনলাইনে কেনাকাটা করে। এমনকি একজন ইলেক্ট্রিসিয়ান বা প্লাম্বার প্রয়োজনেও অনলাইনে সন্ধান করে থাকে। সেই অবস্থার দিকে আমরাও যাত্রা করেছি। এই মুহুর্তে বাংলাদেশে ই-বিজনেসে প্রতিযোগিতাও কম। ভাল মার্কেটিং প্লান থাকলে শীর্ষস্থান দখল করে সর্বোচ্চ মার্কেট শেয়ার দখল করা খুব সম্ভব।
আপনার ব্যবসাকে এক ধাপ সামনে নিতে ই-কমার্স ব্যবসায় চলে আসুন। আমরা আপনার অনলাইন শোরুম করে দেব সহনীয় খরচে। তবে কম মানে এত কম নয়, যাতে সেই সাইট নিয়ে আপনি না ভোগেন।সেই সাথে ফ্রী তে পাবেন মার্কেটিং পরামর্শ
বাংলাদেশে ই-কমার্স এর সুযোগগুলি
দেশের অধিকাংশ উদ্যোক্তাগণ এফকমার্স করছেন। আমরা সকলেই জানি এফকমার্স বা ফেসবুক কমার্স হচ্ছে ওয়ানটাইম ব্যবসা। যে কারো রিপোর্টে বা কমিউনিটি গাইডলাইন ইস্যুতে যেকোনো সময় বিজনেস পেইজ ব্লক হয়ে যেতে পারে। এতে আপনার ব্যবসায়িক কমিউনিটি বিল্ডআপের প্রচেষ্টা হুমকির মধ্যে পড়েতে পারে।
ব্যবসায়িক আইডেন্টিটিকরণে ও দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়ীক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আপনি কেন এখনো ওয়েবসাইট করেন নি?
বাংলাদেশে ই-কমার্স ব্যবসার সম্ভাবনা বিপুল সবদিক থেকেই অনুকূলে এগোচ্ছে।
এই ঢাকা শহরের প্রায় সব রাস্তায় জ্যাম পরিপূর্ণ থাকে এক অঞ্চল থেকে আরেক অঞ্চলে কিছু কিনতে বা সার্ভিস পেতে পুরো একটা দিনও বরবাদ হয়ে যেতে পারে। যখন সময় এর প্রতিটি মিনিট এর মূল্য মহামূল্যবান।
জনসংখ্যার আধিক্যের কারণে ই-কমার্সের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে 18 কোটি মানুষ এখানে ছেলে-বুড়ো সবাই ফেসবুক ব্যবহার করে ইউটিউবে সিনেমা দেখে গেমস খেলে পর্নো দেখে ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ গ্রাহক টানা সম্ভব।
অনলাইম মার্কেট শেয়ার টা কি?
বাংলাদেশ ও ভারতে ডিজিটাল মার্কেটিং তথা সার্চ ইঞ্জিন মার্কেটিং এর গুরুত্ব ব্যবসায়ীরা বা উদ্যোক্তারা এখনো বুঝতে পারছে না। এটা একটা প্লাস পয়েন্ট। কারণ SEO না বুঝলেও গুগলে সার্চ করছে তার নির্দিষ্ট তথ্য বা পণ্যের জন্য। এখানে কমিউনিটিতে যারা আছি আছে কমবেশি ডিজিটাল মার্কেটিং সম্পর্কে জানি। ই-কমার্স সম্পর্কে জানি।
চিন্তা করুন, একটা কিওয়ার্ডের সার্চ ভলিউম ৩০০, তো “Leather jacket in BD” লিখেই সার্চ করলাম। মানে আমরা যা লিখে গুগলে সার্চ করি সেটাই কিওয়ার্ড। বাংলাদেশে যদি এই কিওয়ার্ডটি লিখে মাসে তিনশো জন সার্চ করে আর আমাদের অনলাইন স্টোরে যদি বিশজন ভিজিট করে পণ্যটি কেনে সেটাই আমাদের মার্কেট শেয়ার। কিন্তু আমাদের সাইট তো গুগলে র্যাংক করেনি। সেটা যে র্যাংক করতে হয় এসইও এক্সপার্ট হায়ার করে, তা তো সবাই জানেনা। জানলেও আমলে নেয়না অনেকেই। তারা মনে করে যেন তেন করে একটা শপ দাঁড় করালাম আর হয়ে গেল। এরপর হতাশ হয়ে অনলাইনকে গালাগাল করে।
এটা একটা বড় সুযোগ । ব্যবসা যদি শুরুই করেন, একটু ভালভাবেই করতে হবে। প্লান করুন মার্কেটিং এক্সপার্টের সাথে। ভালো ডেভেলপার দিয়ে বানান। ভাল হোস্টিং ব্যবহার করুন। শস্তার দূরাবস্থা। ও-ই ফাঁদে পা দিবেন না। পরে নতুন কিরে শুরু করতে হয়। শুরু থেকেই এসইও প্লান সহকারে ওয়েবসাইট বানালে অনেক কিছুই পরে সহজ হয়ে আসে। সময় ও অপচয় বাঁচে। এরপর সাইটকে ফেসবুকে যেমন প্রচার করবেন। গুগলের কাস্টমার পেতে চাইলে এসইও টাও করে নেবেন । Search Engine Optimization এর সুবিধা হলো, এখানে ভিজিটররা খুঁজতে খুঁজতে নিজে আসে । ফেসবুক মার্কেটিং এর ক্ষেত্রে উল্টো কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে হয়।
আপনার ই-কমার্স এর ডিজাইন, ডেভেলপ ও প্রমোশন এর জন্য A 2 Z সলিশন নিয়ে আমরা আছি। Click Here
Call Now: +8801912700777
Email: mail2shohelrana@gmail.com
So, who comes first in the online marketplace, to get first outcome.