সফল ব্যবসা বা উদ্যোক্তা হিসেবে শুরু করার পদ্ধতি

Share the Post

প্রথমেই, ব্যবসা কেন করবেন? বা কেন শুরু করেছেন? আপনার ভিশন, মিশন সবার আগে ঠিক করে নেন। আগামী ৫ বছরে নিজেকে কোথায় দেখতে চান? সেটা ঠিক করুন। গোলগুলো ডিটেইলে ডিফাইন করুন। নিজের কাছে কিভাবে নিজেকে একাউন্টেবল করবেন, সেটা ঠিক করুন। তারপরে নিন্মোক্ত সাজেশনগুলো ফলো করতে পারেন।

১) প্রথমে একটা আইডিয়া খুঁজে বের করুন। সেই আইডিয়ার পণ্য বা সেবা বিক্রয় যোগ্য কি না? সেটা এনালাইসিস করুন। এমন পণ্য বা সেবা নিয়ে বিজনেস শুরু করুন যা ভোক্তার কোন রিয়েল প্রবলেম সলভ করতে পারে।

২) নিজের সোয়াট এনালাইসিস করুন। স্ট্রেংন্থকে কিভাবে কাজে লাগানো যায়, উইকনেস কিভাবে ওভারকাম করা যায়, অপরচ্যুনিটির ব্যবহার কিভাবে করা যায় এবং চ্যালেঞ্জগুলো কিভাবে মোকাবেলা করা যায় – সেগুলো ডিটেইলে ভাবুন।

৩) আইডিয়া বাস্তবায়ন করতে হলে আপনাকে কোন কোন বিষয়ে দক্ষ হতে হবে সেগুলো ঠিক করে নিয়ে একশ্যন নিন।

৪) একটা বিজনেস কিভাবে কাজ করে, সেটা বুঝতে চেষ্টা করুন। আপনার আইডিয়াতে বিজনেস করছে এমন কারো সাথে সময় কাটান, আড্ডা দিন। তাদের থেকে শিখুন।

৫) বিজনেস মডেল ক্যানভাস ডিজাইন ও প্ল্যান করতে শিখুন।

৬) আপনি যে বিজনেস করবেন সেই পণ্য বা সেবার বাজার চাহিদা পর্যবেক্ষন করুন। ভোক্তাদের পর্যবেক্ষন করুন। কথা বলুন তাদের সাথে। পণ্য সংশ্লিষ্ট ব্যবসা হলে পাইকারি বাজার বা উৎপাদন কারখানা ভিজিট করুন।

৭) ব্যবসা বিষয়ক কিছু কর্মশালায় অংশ নিন। ইউডেমিতে কিছু ফ্রি কোর্স আছে, সেগুলো দেখুন।

৮) বই পড়ুন। ব্লগ পড়ুন। ইউটিউবে ভিডিও দেখুন। তবে এ ক্ষেত্রে খুবই সিলেকটিভ হতে হবে। কি পরবেন, দেখবেন তা আগে থেকেই ঠিক করে নিতে হবে নয়তো ডেস্ট্রাকটেড হয়ে যেতে পারেন। সবচেয়ে বেশি বিজনেসের কেইস স্ট্যাডি পড়ুন।

৯) ব্যবসা সংশ্লিষ্ট গ্রুপগুলোতে যুক্ত হোন। নেটওয়ার্ক বাড়ান। অবজার্ব করুন। শিখুন। চর্চা করুন।

১০) আপনার পণ্য বা সেবা নিয়ে ছোট পরিসরে মার্কেটে নামুন। ট্রায়াল এন্ড এরর বেসিসে কাজ শুরু করুন। ভুল করুন এবং ভুল থেকে শিখুন।

১১) অভিজ্ঞ এবং যোগ্য মেন্টর খুঁজে নিন। কোন কিছু নিয়ে সংশয় তৈরী হলে মেন্টরের সাথে ডিসকাশন করুন।

১২) নিজেই বিজনেসের সব কাজ করতে যাবেন না। নেটওয়ার্ক থেকে এক্সপার্ট লোকজনের সহযোগীতা নিন। যার যা কাজ তাকে দিয়ে তা করাবেন।

১৩) পণ্য বা সেবার কোয়ালিটি, বিক্রি, প্রচার প্রসার, কাস্টোমার সার্ভিস, হিসাব রক্ষন, দক্ষ টিম – এই বিষয়গুলোতে সব সময় ইমপ্রুভ করতে, ভ্যালু এড করতে চেষ্টা করুন।

১৫) বিজনেস শুরু সময় লিগ্যাল ডকুমেন্টেশন করতে কোন কারপণ্য করবেন না। ট্রেড লাইসেন্স, টিআইএন, ব্যাংক একাউন্ট, বিআইএন ইত্যাদি অবশ্যই করে নিবেন এবং যথা সময়ে আপডেট করবেন।

সবশেষে আমি মাস্ট রিড কিছু বই সাজেস্ট করতে পারি যা আপনাকে বিজনেস প্রসেস বুঝতে ও বিজনেস শুরু করতে হেল্প করবে। যেমন- সো গুড দ্যা কান্ট ইগনোর ইউ, দ্যা ওয়ান থিং, দ্যা হাই পারফর্মেন্স অন্ট্র্যাপ্রেনার, শরবতে বাজিমাত, ডেলিভারিং হ্যাপিনেস, দ্যা লীন স্টার্টআপ, ব্লু ওশিন স্ট্র্যাটেজি, বিল্ডিং এ স্টোরি ব্র্যান্ড, বিলিয়ন ডলার স্টার্টআপ, জিরো টু ওয়ান, ই-মিথ রিভিসিটেড, দ্যা কমপাউন্ড ইফেক্ট ইত্যাদি।

সবার জন্যে শুভ কামনা রইলো। ধন্যবাদ।

Leave a Comment